ওজন কমানোর জন্য সবথেকে কার্যকরী আয়ুর্বেদিক ওষুধ!
ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এই লেখায় এমন একটি ঘরোয়া ওষুধ নিয়ে আলোচনা
করা হবে, যা খেলে যখন আপনি ঘুমাবেন তখনও ফ্যাট বার্ন হতে থাকবে। ফলে ওজন
কমবে অনেক দ্রত গতিতে।
আর এই ওষুধটি যেহেতু প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি, তাই শরীরের উপর বিরুপ
প্রভাব পড়ারও আশঙ্কা থাকবে না। তাহলে অপেক্ষা কীসের! চলুন জেনে নেওয়া যাক
ওজন কমানোর ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে।
উপাদেন –
১. লেবু- ১ টা
২. শসা- ১টা
৩. আদা- ১ চামচ
৪. অ্যালো ভেরা পানি- ১ চামচ
৫. পানি- হাফ গ্লাস
৬. পার্সলে শাক- এক মুঠো
এবার জেনে নেওয়া যাক উপকরণ গুলো বানানোর পদ্ধতি
সবকটি উপাদেন ভাল করে মেশান। উপাদেন গুলি মিশে যাওয়ার পর মিশ্রন বা ওষুধ পায়া যাবে সেটিই খেতে হবে প্রতিদিন।
১। শরীর থেকে সব রকমের ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিতে লেবুর রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
২।আদা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা চর্বিকে গলিয়ে ফেলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩। হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশপাশি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে শসার কোনও বিকল্প হয়
না বললেই চলে। তাই তো এই ওষুধটি বানাতে শসার এত প্রয়োজন পরে।
৪।চর্বি গলিয়ে দেওয়ার পাশপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
সাবধান! এই ওষুধটি খাওয়ার সময় বেশি করে জল খাবেন কিন্তু! But কারণ শরীরে
জলের মাত্রা কমে গেলে হজম ক্ষমতাও কমতে শুরু করবে। ফলে ওষুধটি খেয়ে কোনও
লাভই হবে না
এর পাশা পাশি নিচের রুলস গুলো ফলো করতে পারেন-
১।পানি পান করুন-
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীর আর্দ্র থাকে, এতে আপনার পেট ভরা এমন
ভাবও তৈরি হবে। ক্ষুধাও কম লাগবে, এ কারণে আপনি কম খাবেন, ধীরে ধীরে ওজনও
কমবে তাতে। দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন।
২।সবজি খান বেশি বেশি-
খুব সহজ কথা। সবজি খেলে ওজন কমে। হ্যাঁ, তাই থালায় বেশি বেশি সবজি রাখুন।
সবজির মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীর ভালো রাখতে
সাহায্য করে।
৩।আয়নার সামনে বসে খান-
শুনতে হয়তো অদ্ভুত লাগছে, তবে গবেষণায় বলা হয়, যেসব লোক আয়নার সামনে বসে
খায়, তাদের ওজন দ্রুত কমে। কীভাবে? তারা নিজেকে দেখতে থাকে আর ভাবতে থাকে,
ওজন কমানো দরকার। এই ভাবনা কাজে দেয় কি না, একবার পরীক্ষা করে দেখতে
পারেন!
৪।হাঁটুন-
ওজন কমাতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। আর হাঁটা তো কেবল ওজনই কমাবে না, কমাবে
হৃদরোগের ঝুঁকিও। বিষণ্ণতা বা মন খারাপ ভাবও কমে যাবে অনেক।
৫।প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা-
সকালের নাস্তায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এটি ওজন কমাতে
সাহায্য করে। প্রোটিন অনেকটা সময় ধরে পেট ভর্তি রাখে এবং ক্ষুধা নিবারন
করে। আপনি যখন ক্ষুধার্ত কম হবে তখন আপনি সাধারণভাবেই কম খাবেন। এতে করে
কমবে আপনার ওজন। বায়োফোরটিস ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ও ইউনিভার্সিটি অফ মিজউরি
ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সসারসাইজ ফিজিওলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনের গবেষকগণ বলেন,
‘অন্যান্য খাবারের তুলনায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে ক্যালরি অনেক কম থাকে
কিন্তু নিউট্রিশনাল ভ্যালু অনেক বেশি, তাই এটি একই সাথে ওজন কমাতে ও দেহ
সুস্থ রাখতে কাজ করে’। তাই সকালের নাস্তায় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার
যেমন, ভাত, রুটি এবং পাউরুটি জাতীয় খাবার না খেয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
রাখুন।
No comments:
Post a Comment